বিএনপির দুই গ্রুপের ৩ ঘণ্টার সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে চাঁদপুর পৌর এলাকা

## চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর পৌর এলাকার টোরাগড় গ্রাম এবং মকিমাবাদ সর্দার বাড়ির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষ তিন ঘণ্টাব্যাপী চলে, এবং এতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে হাজীগঞ্জ বাজার বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এরপর থেকেই চাঁদাবাজি এবং দখল সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব শুরু হয় সর্দার বাড়ির বিএনপির একটি গ্রুপ এবং টোরাগড় গ্রামের বিএনপির অপর গ্রুপের মধ্যে। সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর, যেখানে কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন এবং গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষ গভীর রাত পর্যন্ত চলে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে টোরাগড় এলাকার গ্রুপটি হাজীগঞ্জ বাজারে হামলা চালালে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের একটি টিম হাজীগঞ্জ বিশ্বরোড এবং অপর একটি টিম থানা রোডে সতর্ক অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠলে পুলিশ সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার জন্য খবর দেয়। রাত ১০টার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ কার্যক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এদিকে সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন এবং পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব।

নবাগত পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, “সেনাবাহিনী ও পুলিশের তৎপরতায় হাজীগঞ্জের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিহতের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য আসছে, তবে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত করে জানানো হবে।”

If you need any more modifications, feel free to ask!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *