‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব না, পদত্যাগও করব না’

**বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আলমগীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে ছুটি ছাড়া বাড়িতে থাকার অভিযোগ**

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি ছুটি ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে বসে দিন কাটাচ্ছেন। সরকারের পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, ট্রেজারারসহ ৪০ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন, যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় এখন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র দায়িত্বে থাকা রেজিস্ট্রার আলমগীর চৌধুরী নিজের ইচ্ছামতো ছুটি কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্রের খবর, প্রথমবার নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই আলমগীর চৌধুরী অনিয়মিত অফিসে আসতেন। তবে ফেব্রুয়ারি মাসে চুক্তিভিত্তিক পুনঃনিয়োগ পাওয়ার পর তার অনিয়মিত আসার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি পুনঃনিয়োগ পাওয়ার পর ৮৬ দিনের মধ্যে ৫৩ দিনই তিনি ছুটি কাটিয়েছেন। তাঁর নিয়মিত অনুপস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা অনিরাপদ মনে করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, রেজিস্ট্রার আলমগীর চৌধুরী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৮৬ দিনের মধ্যে ৫৩ দিন ছুটি কাটান। এরপর, ২০ দিন বিরতি দিয়ে টানা ৪০ দিন ছুটি কাটাতে দেশের বাইরে যান। ৭ আগস্ট অসুস্থতার কারণে চট্টগ্রামে চলে যান এবং কখন অফিসে যোগদান করবেন তা স্পষ্ট করেননি।

অতিরিক্ত, রেজিস্ট্রার আলমগীর চৌধুরী বছরের পর বছর অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট হাউজের একটি রুম দখল করে রেখেছেন এবং উপাচার্যের নামে বরাদ্দকৃত গাড়ি সার্বক্ষণিক ব্যবহার করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের নির্দেশে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হলেও তিনি তা ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া, গত বছর চুক্তির শর্ত ভেঙে প্রায় দেড় লাখ টাকা ঈদ বোনাস নেয়ায় ইউজিসির নির্দেশে সেই অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য হন আলমগীর চৌধুরী।

২০২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ার পর আলমগীর চৌধুরীকে পুনঃনিয়োগ দেওয়া হলেও ইউজিসি’র নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, রেজিস্ট্রারের হঠাৎ ছুটির কারণ এবং কবে তিনি যোগদান করবেন তা এখনও জানানো হয়নি।

রেজিস্ট্রার আলমগীর চৌধুরীকে ফোন করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো ফোন রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *