**মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় বিএসএফের গুলিতে নিহত স্কুলছাত্রীর মরদেহ ৪৫ ঘণ্টা পর হস্তান্তর**
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত স্কুলছাত্রী স্বর্ণা দাসের মরদেহ ৪৫ ঘণ্টা পর বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চাতলাপুর চেকপোস্টের মাধ্যমে বিএসএফ স্বর্ণার মরদেহটি বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) এবং স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
১৬ বছর বয়সী স্বর্ণা দাস, মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের পরেন্দ্র দাসের কন্যা এবং অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। রবিবার রাত ৯টার দিকে শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে স্বর্ণা নিহত হন। তবে এ ঘটনায় সোমবার রাত পর্যন্ত কোনো তথ্য জানা যায়নি।
স্বর্ণার বাবা পরেন্দ্র দাস জানান, ভারতের ত্রিপুরায় তার বড় ছেলে থাকেন। তাকে দেখতে যাওয়ার জন্য স্বর্ণা ও তার মা রবিবার রাতে স্থানীয় দুই দালালের সহায়তায় লালারচক সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে পৌঁছালে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়, ফলে স্বর্ণা ঘটনাস্থলেই নিহত হন, কিন্তু তার মা বেঁচে যান।
বিজিবি ৪৬ ব্যাটালিয়নের লালারচক বর্ডার ফাঁড়ির (বিওপি) টহল কমান্ডার নায়েক ওবায়েদ জানান, এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ভারতের পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিজিবি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কুলাউড়া থানার পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষন রায় নিশ্চিত করেছেন যে, স্বর্ণার মরদেহ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক সীমান্ত দিয়ে বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।