ঢাকা, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪— শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তবর্তীকালীন সরকার মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মাধ্যমিকে বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসা) বাতিল করা হবে না। তবে দশম শ্রেণির সিলেবাসের ওপর পরীক্ষার সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোছাম্মদ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, মাধ্যমিক শিক্ষাক্রমে বিভাগ বিভাজন থাকবে না, ফলে নবম শ্রেণিতে সকল শিক্ষার্থী একই পাঠ্যবই পড়বে। তবে দশম শ্রেণিতে উঠার পর তারা বিভাগ বিভাজনের সুযোগ পাবে এবং ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার অব্যাহত থাকছে। পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর আলোকে সংশোধিত পাঠ্যপুস্তকসমূহ (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত) সরবরাহ করা হবে। এই পাঠ্যপুস্তকের একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যে পাঠ্যসূচি সম্পন্ন করতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে, যার ফলে জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।
পরিবর্তিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুযায়ী প্রণীত পাঠ্যপুস্তকগুলো ব্যবহার করবে এবং নবম ও দশম শ্রেণির দুই শিক্ষাবর্ষ মিলিয়ে ২০২৭ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
এছাড়া, ২০২৫ সালের মধ্যে শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ, এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সহযোগিতায় পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে, যা ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হবে।
