ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা আজ থেকে বন্ধ রয়েছে। শনিবারের ঘটনায় চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের পর নিরাপত্তাহীনতার কারণে চিকিৎসকরা সেবা প্রদান বন্ধ করেছেন।
আজ রোববার সকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতার কারণে সেবা বন্ধ রাখেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শনিবার একদল বহিরাগত অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে চিকিৎসকদের বের করে মারপিট করেছে।
গতকাল শনিবার নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারপিটের ঘটনায় চিকিৎসকরা দোষীদের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটে এক ছাত্রের মৃত্যুর পর। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি) এর শিক্ষার্থী আহসানুল ইসলাম (২৫) এর চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ায়। আহসানুল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়, কিন্তু সকালে তিনি মারা যান।
পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পেয়ে সহপাঠী ও আত্মীয়রা হাসপাতাল এলাকায় আসেন। তাঁরা চিকিৎসকদের অবহেলার অভিযোগ তোলেন, যা নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান দাবি করেছেন যে, আহসানুলের চিকিৎসায় কোনো অবহেলা ছিল না। তবে শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে।
এখন পর্যন্ত চিকিৎসকদের কর্মবিরতির বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।