২০২৬-এ এসএসসি পুরোনো সিলেবাসে

### ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য সৃজনশীল পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন

চলতি বছর নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ২০২৬ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় বসবে। এই শিক্ষাবর্ষে তারা নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে রচিত পাঠ্যবই ব্যবহার করছে এবং ষাণ্মাসিক মূল্যায়নে অংশ নিয়েছে। তবে বছরের শেষদিকে এই শিক্ষার্থীরা পুরোনো শিক্ষাক্রমের আলোকে সৃজনশীল পরীক্ষায় অংশ নেবে, এবং আগামী বছর তাদের বই পরিবর্তন হয়ে যাবে। এমনকি, পুরোনোভাবে বিভাগ বিভাজনও থাকবে। এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সৃজনশীল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্প্রতি প্রকাশিত পরিপত্র অনুযায়ী, ২০২৫ সালে যারা দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে, তাদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হবে ২০২৬ সালে। এই পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২০১২ সালের জাতীয় শিক্ষাক্রমের আলোকে সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যবই সরবরাহ করা হবে। নতুন পাঠ্যবইয়ের পরিবর্তে আগের শিক্ষাক্রম অনুসারে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যসূচি সম্পন্ন করতে পারে।

বর্তমানে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমের বই পড়ছে। আগামী বছর তারা পুরোনো শিক্ষাক্রমের বই পড়বে, যা কিছু পরিবর্তন হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই পরিবর্তনের কারণে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি ভালো হবে না।

এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, আগামী বছর দশম শ্রেণিতে ওঠা শিক্ষার্থীরা পুরোনো শিক্ষাক্রমের বই পড়বে এবং কোনো ঘাটতি এড়াতে সিলেবাস কমানো বা অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি জানান, নবম শ্রেণিতে ২০১২ সালের জাতীয় শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণীত পাঠ্যবই দেওয়া হবে, এবং এই শিক্ষার্থীরা নবম ও দশম শ্রেণিতে দুই শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যসূচি সম্পন্ন করে ২০২৭ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিবে।

প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য, প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির বইয়ের পাণ্ডুলিপি প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনের মাধ্যমে মুদ্রণ করা হবে। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বইগুলোর মূল্যায়ন পদ্ধতি আগের শিক্ষাক্রমের মতো থাকবে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বই পরিমার্জন করা হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চলমান বইগুলো পরিমার্জন করে দেওয়া হবে এবং নবম ও দশম শ্রেণিতে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের সংশোধিত বই সরবরাহ করা হবে।

চলতি বছর সৃজনশীল পদ্ধতির মূল্যায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, পরীক্ষার নম্বর ১০০ হবে, যার মধ্যে ৭০-৮০ শতাংশ পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এবং বাকিটা ধারাবাহিক মূল্যায়ন থেকে নেওয়া হবে। ফলাফল গ্রেড আকারে দেওয়া হবে।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বই পরিমার্জন বিষয়ে তিনি জানান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি দল কাজ করছে। সেনসিটিভ কন্টেন্ট বাদ দিয়ে গ্রাফিক্স ও ডিজাইন নতুন করে পরিমার্জন করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *