বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে শোবিজের অনেক শিল্পী প্রতিবাদ জানালেও কিছু শিল্পী আন্দোলনে নীরব ভূমিকা পালন করেছেন বা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ছাত্রদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। সম্প্রতি, আন্দোলনের বিরুদ্ধে কিছু বিতর্কিত মন্তব্য ও কার্যকলাপ প্রকাশিত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
আন্দোলনের তীব্রতার মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন। তার পদত্যাগের পর তার সরকারের কর্মকাণ্ড ও ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সেসব বিষয় জনসম্মুখে আসতে শুরু করেছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটগুলোতে দেখা গেছে, কিছু শোবিজ শিল্পী ছাত্রদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এই গ্রুপের আলোচনায় সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌসসহ শোবিজের কিছু নামকরা ব্যক্তিত্বও অংশ নিয়েছিলেন। স্ক্রিনশটে দেখা যায়, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস ও সোহানা সাবার মতো শিল্পীরা আন্দোলন থামানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। এক শিল্পী ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢালার পরামর্শও দিয়েছেন।
গ্রুপের মধ্যে শামীমা তুষ্টি, নায়ক রিয়াজ, সাজু খাদেম এবং অন্যান্য শোবিজ তারকারাও উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রকাশিত স্ক্রিনশটে সক্রিয় ছিলেন সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাসসহ কয়েকজন।
এই বিতর্কিত স্ক্রিনশটগুলির প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বিষয়টি মানবতাবিরোধী হিসেবে উল্লেখ করে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং এর বিচার দাবি করেছেন।
‘আলো আসবেই’ নামের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত ছিলেন সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস, রিয়াজ আহমেদ, সাজু খাদেম, অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা এবং অরুণা বিশ্বাসসহ অনেকে।