নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার মধ্য করিমপুর গ্রামে গত রবিবার বিকেলে বন্যার পানির মধ্যে হাঁটার সময় সাপের কামড়ে মারজাহান বেগম (১৬) আহত হন। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে চিকিৎসার পর মারজাহান অনেকটাই সুস্থ আছেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সূত্র অনুযায়ী, গত ২২ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে ২২৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এটি এমন এক সময়ের ঘটনা যখন এত সংখ্যক সাপের কামড়ের রোগী আগে কখনোই হাসপাতালের চিকিৎসার জন্য আসেননি।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক নিরুপম দাশ জানান, বন্যার পানিতে সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তিনি বন্যার পানিতে চলাচলকালে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। সাপে কামড়ালে আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে যেতে হবে। চিকিৎসা পেলে রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।
নোয়াখালীতে বন্যার কারণে সাপে কামড়ের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। অতিবৃষ্টি এবং উজানের পানি প্রবাহের ফলে জেলায় বন্যা চলছে এবং জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে আটটি প্লাবিত হয়েছে। ফলে সাপের কামড়ের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এই সময়ে সাপে কামড়ে কারও মৃত্যু হয়নি এবং বেশিরভাগ রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ২০ জন সাপে কামড়ের রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম নিশ্চিত করেছেন যে, বন্যার কারণে সাপে কামড়ের রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।